সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সমাজের অনগ্রসর দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে নিম্নোক্ত সেবা প্রদান করে
১। বয়স্কভাতা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধীভাতা, বিধবা ও স্বামীপরিত্যক্তা দুস্থ মহিলাভাতা প্রদান।
২। দরিদ্র, প্রতিবন্ধী ও এসিডদগ্ধ ব্যক্তিদের সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদান।
৩। এতিম ও দুস্থ শিশুদের প্রতিপালন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান।
৪। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিশেষ শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, চিকিৎসা সহায়তা প্রদান।
৫। হাসপাতালে অবস্থানরত দুস্থ রোগীদের সহায়তা প্রদান।
৬। আইনের সংস্পর্শে আসা কিশোর-কিশোরী ও ব্যক্তির উন্নয়ন এবং পুনর্বাসন করা।
৭। স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণমূলক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন ও সহায়তা প্রদান।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য উপজেলা ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে যোগাযোগ করুন বা ভিজিট করুন www.msw.gov.bd
সমাজসেবা অধিদফতরের ভিশন ও মিশন
ভিশন
সমাজেরঅনগ্রসর, বঞ্চিত, দরিদ্র ও সমস্যাগ্রসত্ম জনগোষ্ঠীর কল্যাণসাধন, সামাজিকনিরাপত্তা প্রদান এবং ক্ষমতায়নের মাধ্যমে আর্থসামাজিক উন্নয়ন।
মিশন
ক) ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে অধিদফতরের আইসিটি কার্যক্রম গ্রহণ।
খ) ২০১৫ সালের মধ্যে দেশের শতকরা ৫০ ভাগ অসহায় ও সমস্যাগ্রসত্ম জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান;
গ) সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের মাধ্যমে ২০১৫ সালের মধ্যে দেশের শতকরা ৫০ ভাগ দারিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক
ঘ) অবস্থা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচন;
ঙ) এতিম, অবহেলিত, দুস্থ ও বিপন্ন শিশুদের অধিকার সুরক্ষা, প্রতিপালন, কল্যাণ, উন্নয়ন ও পুনর্বাসন;
চ) সামাজিক অপরাধপ্রবণ ব্যক্তিদের সংশোধন, উন্নয়ন ও পুনর্বাসন;
ছ) অসহায়, দুস্থ রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা প্রদান;
জ) প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা, প্রতিপালন, কল্যাণ, উন্নয়ন ও পুনর্বাসন;
ঝ) স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহকে নিবন্ধান প্রদান, তাদের কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান ও তত্ত্বাবধান;
ঞ) সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের কল্যাণ, উন্নয়ন ও পুনর্বাসন;
ট) সামাজিক অনাচার প্রতিরোধে সহায়তা প্রদান ও উদ্বুদ্ধকরণ;
ঠ) পেশাজীবী সামাজকর্মীদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান;
ড) এসিডদগ্ধ মহিলাদের সহায়তা ও উন্নয়ন।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য ডিজিট করুন www.dss.gov.bd
কর্মসূচী সমূহঃ
১) পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম (আর এস এস): মূলবিনিয়োগঃ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন সমাজকর্মী ১ (এক) মাসের মধ্যে প্রকল্প গ্রামে জরীপের (বেস লাইনসার্ভে) মাধ্যমে ক; শ্রেনীভূক্ত অর্থাৎ দরিদ্র পরিবার যাদের মাথাপিছুগড় আয় ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা এমন ১০-২০ জনের দল গঠনপূর্বক তাদের পেশাভিত্তিক আয়বর্ধক স্কীম প্রণয়ন করে ফিল্ড সুপারভাইজার উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের নিকট দাখিল করবেন এবং সমাজসেবা অফিসার ৭ (সাত) দিনের মধ্যেপ্রদত্ত স্কীম যাচাইবাছাই করে পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটির(পিআইসি) সভায় উপস্থাপন ও অনুমোদন গ্রহন প্রভৃতি কার্যক্রম সম্পাদন পূর্বকসংশ্লিষ্ট গ্রামে গিয়ে ঋণ বিতরণ করবেন এবং কিস্তি অনুযায়ী উক্ত ঋন আদায়ের ব্যবস্তা গ্রহন করবেন।
পূনঃবিনিয়োগঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/শহর সমাজসেবা অফিসার বিনিয়োগকৃত ঋনের ৮০% আদায় হলে তিনি ১ (এক)মাসের মধ্যে উল্লিখিত প্রক্রিয়ায় পুরাতন ঋণ গ্রহীতাদের মাঝে অথবা নতুন দল গঠনের মাধ্যমে পুনঃবিনিয়োগ করবেন এবং এ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। বরাদ্দপ্রাপ্ত মূল অর্থ ঘূর্ণায়মান তহবিল হিসাবে ব্যবহ্নত হবে।
২) বিশেষ বরাদ্দপ্রাপ্ত ঘূণার্য়মান তহবিলঃ উল্লিখিত(একই) প্রক্রিয়ায় দরিদ্র পরিবারের সদস্য-সদস্যাদের মাঝে সহজশর্তে ঋণ বিতরণকরা হয়ে থাকে এবং বরাদ্দ প্রাপ্ত মূল অর্থ ঘূর্ণায়মান তহবিল হিসাবেব্যবহ্নত হবে।
৩) পল্লী মাতৃকেন্দ্রের মাধ্যমে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন কার্যক্রমঃ উল্লিখিত(একই) প্রক্রিয়ায় লক্ষ্যভূক্ত দরিদ্র পরিবারের মহিলা সদস্যাদের জন্য একার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, ইউনিট পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/শহর সমাজসেবা অফিসার প্রত্যেক অর্থ বছরের ১৫ জুলাই এর মধ্যে একটি বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা প্রনয়নপূর্বক পিআইসি এর অনুমোদনক্রমে উপ-পরিচালক এর মাধ্যমে সদর দফতরে প্রেরণ করবেন এবং বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবেন।
৪) শহর সমাজসেবা কার্যক্রমঃ
ক) সূদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমঃ
খ)সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীমূলক কর্মসূচীঃ
গ) প্রশিক্ষণ কর্মসূচীঃ
ক)সূদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমঃ মূলবিনিয়োগঃ সংশ্লিষ্ট পৌর সমাজকর্মী ১ (এক) মাসের মধ্যে প্রকল্প গ্রামে/এলাকায় জরীপের (বেস লাইনসার্ভে) মাধ্যমে ক; শ্রেনীভূক্ত অর্থাৎ দরিদ্র পরিবার যাদের মাথাপিছু গড় আয় ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা এমন ১০-২০ জনের দল গঠনপূর্বক তাদের পেশাভিত্তিক আয়বর্ধক স্কীম প্রণয়ন করে সমাজসেবা অফিসারের নিকট দাখিল করবেনএবং সমাজসেবা অফিসার ৭ (সাত) দিনের মধ্যে প্রদত্ত স্কীম যাচাই বাছাই করেপকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভায় উপস্থাপন ও অনুমোদন গ্রহন প্রভৃতি কার্যক্রম সম্পাদন পূর্বক সংশ্লিষ্ট গ্রামে/এলাকায় গিয়ে ঋণ বিতরণ করবেন এবং কিস্তি অনুযায়ী উক্ত ঋন আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
পূনঃবিনিয়োগঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/শহর সমাজসেবা অফিসার বিনিয়োগকৃত ঋনের ৮০% আদায় হলে তিনি ১ (এক)মাসের মধ্যে উল্লিখিত প্রক্রিয়ায় পুরাতন ঋণ গ্রহীতাদের মাঝে অথবা নতুন দল গঠনের মাধ্যমে পুনঃবিনিয়োগ করবেন এবং এ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। বরাদ্দপ্রাপ্ত মূল অর্থ ঘূর্ণায়মান তহবিল হিসাবে ব্যবহ্নত হবে।
খ)সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীমূলক কর্মসূচীঃ
মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা প্রদান কার্যক্রমঃ মুক্তিযোদ্ধাও মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী যার বার্ষিক আয় ২৪,০০০ (চব্বিশ হাজার) টাকারউর্দ্ধে নয় এবং মুক্তিযোদ্ধা বলতে জাতীয় ভাবে প্রকাশিত ৪ (চার) টিতালিকার কমপক্ষে দুটি তালিকায় অথবা গেজেটে যাদের নাম আছে বা বি.এফ.এফ.সশস্ত্র বাহিনী এবং বাংলাদেশ রাইফেলস হতে প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় যাদের নাম অন্তর্ভক্ত আছে বা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধা সনদপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। এক্ষেত্রে কর্মক্ষম নন বা আংশিক কমক্ষম/ ভূমিহীন /কর্মহীন/সহায় সম্বলহীন মুক্তিযোদ্ধাগণ অগ্রাধিকার পাবেন।বরাদ্দ প্রাপ্তির সাপেক্ষে সবোর্চ্চ ১ (এক) মাসের মধ্যে নতুন ভাতাভোগী নির্বাচনসহ ভাতা বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহন । মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা প্রতিমাসে প্রদান করা হয়। তবে কেউ ইচ্ছা করলে একাধিক মাসের ভাতা একত্রে উত্তোলন করতে পারেন।ভাতাভোগীর নামে তপসীলভূক্ত ব্যাংকে ১০ (দশ) টাকায় সঞ্চয়ী হিসাব খোলার মাধ্যমে উক্ত মুক্তিযোদ্ধা ভাতাভোগীর ব্যাংক হিসাবে ভাতা প্রদান করা হয়।
বয়স্ক ভাতা প্রদান কার্যক্রমঃবরাদ্দপ্রাপ্তি সাপেক্ষ্যে অনাধিক ১ (এক) মাসের মধ্যে ব্যাপক প্রচারের মাধ্যেম৬৫ (পয়ষট্টি) বছরের উর্দ্ধে দরিদ্র বয়স্ক/বয়স্কা ব্যক্তিদের নিকট থেকে দরখাস্ত আহ্বায়ন করা হয়। প্রাপ্ত আবেদনসমূহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিটি সুপারিশসহ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার/পৌরসভা বয়স্ক ভাতা বিতরণ কমিটি বয়স্কভাতাভোগী নিবার্চন করবেন এবং অনুমোদন ক্রমে প্রত্যেক বয়স্ক ভাতাভোগীর নামে তপসীলভূক্ত ব্যাংকে ১০ (দশ) টাকা সঞ্চয়ী হিসাব খোলার মাধ্যমে উক্ত বয়স্কভাতাভোগীর ব্যাংক হিসাবে বয়স্ক ভাতা প্রদান করবেন। মৃত্যুজনিত/উক্ত প্রক্রিয়ায় মৃত্যূজনিত বয়স্ক ভাতাভোগীর পরির্বতে দ্রুত প্রতিস্থাপন এর একটা অপেক্ষামান তালিকা প্রস্তুত করবেন। এ সকল প্রক্রিয়া বরাদ্দ প্রাপ্তির অনুদ্র্ধ ১ (এক) মাসের মধ্যে সম্পন্ন হয়।
বিধবা ভাতা কার্যক্রমঃ বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষ্যে অনাধিক ১ (এক) মাসের মধ্যে ব্যাপক প্রচারের মাধ্যেম অস্বচ্ছল বিধবা ব্যক্তিদের নিকট থেকে দরখাস্ত আহ্বায়ন করা হয়।প্রাপ্ত আবেদনপত্র সমূহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিটি সুপারিশসহ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার/পৌরসভা বিধবা ভাতা বিতরণ কমিটি বিধবা ভাতাভোগী নিবার্চন করবেন এবং অনুমোদন ক্রমে প্রত্যেক বিধবা ভাতাভোগীর নামে তপসীলভূক্ত ব্যাংকে ১০ (দশ) টাকা সঞ্চয়ী হিসাব খোলার মাধ্যমে উক্ত বিধবা ভাতাভোগীর ব্যাংক হিসাবে বিধবা ভাতা প্রদান করবেন। মৃত্যুজনিত/উক্ত প্রক্রিয়ায় মৃত্যূজনিত বিধবা ভাতাভোগীর পরির্বতে দ্রুত প্রতিস্থাপন এর একটা অপেক্ষামান তালিকা প্রস্তুত করবেন। এ সকল প্রক্রিয়া বরাদ্দ প্রাপ্তির অনুদ্র্ধ ১ (এক) মাসের মধ্যে সম্পন্ন হয়।
প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান কার্যক্রমঃ বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষ্যে অনাধিক ১ (এক) মাসের মধ্যে ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিকট থেকে দরখাস্ত আহ্বায়ন করা হয়। প্রাপ্ত আবেদনপত্র সমূহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিটি সুপারিশসহ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার/পৌরসভা প্রতিবন্ধী ভাতা বিতরণ কমিটি প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী নিবার্চন করবেনএবং অনুমোদন ক্রমে প্রত্যেক প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর নামে তপসীল ভূক্তব্যাংকে ১০ (দশ) টাকা সঞ্চয়ী হিসাব খোলার মাধ্যমে উক্ত প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর ব্যাংক হিসাবে প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান করবেন। মৃত্যুজনিত/উক্ত প্রক্রিয়ায় মৃত্যুজনিত প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর পরির্বতে দ্রুত প্রতিস্থাপনএর একটা অপেক্ষামান তালিকা প্রস্তুত করবেন। এ সকল প্রক্রিয়া বরাদ্দ প্রাপ্তির অনুদ্র্ধ ১ (এক) মাসের মধ্যে সম্পন্ন হয়।
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান কার্যক্রমঃ অধ্যয়নরত৫ (পাঁচ) বছর বয়সের ঊর্দ্ধে প্রতিবন্ধী ছাত্র ছাত্রী যাদের বার্ষিক মাথাপিছু পারিবারিক আয় ৩৬,০০০ (ছত্রিশ হাজার) টাকার নিচে। বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে সবোর্চ্চ ৩ (তিন) মাসের মধ্যে নতুন উপবৃত্তি গ্রহনকারী নির্বাচনসহ উপবৃত্তি বিতরণ এবং নিয়মিত ভাবে শিক্ষাকালীন সময়ে।
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ৪ (চার) টি স্তরে বিভক্ত করে নিম্নরূপ হারে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়-
১। প্রাথমিক স্তর (১ম-৫ম শ্রেনী): জনপ্রতি মাসিক ৩০০ (তিনশত) টাকা।
২। মাধ্যমিক স্তর (৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেনী): জনপ্রতি মাসিক ৪৫০ (চারশত পঞ্চাশ) টাকা।
৩। উচ্চ মাধ্যমিক স্তর (একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেনী): জনপ্রতি মাসিক ৬০০ (ছয়শত) টাকা ।
৪। উচ্চতর স্তর (স্নাতক ও স্নাতকোত্তর): জনপ্রতি মাসিক ১০০০ (এক হাজার) টাকা।
প্রতিবন্ধীতা সনদপ্রত্র প্রদান কার্যক্রমঃ প্রতিবন্ধী সনদপত্র পেতে নিম্নে বর্ণিত কার্যগুলো সম্পাদন করতে হবে-
১) সংশ্লিষ্ট উপজেলা/শহর সমাজসেবা কার্যালয়, হতে আবেদন ফরম সংগ্রহ পূর্বক পূরন করতে হবে।
খ) সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার কর্তৃক প্রতিবন্ধীতা সনাক্তকরণ সনদপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
গ) রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের রিপোট।
ঘ) জন্ম নিবন্ধন/জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
ঙ) ছবি ৩ (তিন) কপি- ১ (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজের ও ২ (দুই) কপি ষ্ট্যাম্প সাইজের যা আবেদন পত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
চ) স্থানীয় চেয়ারম্যান কর্তৃক নাগরিক সনদ।
উল্লিখিত তথ্য গুলো সংগ্রহপূর্বক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়েসংশ্লিষ্ট উপজেলা/শহর সমাজসেবা অফিসারের স্বাক্ষর নিয়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয় আসতে হবে এখানে উপ-পরিচালক মহোদয় যাচাই বাছাই করে প্রতিবন্ধী সনদ পত্র প্রদান করবেন।
গ) প্রশিক্ষণ কর্মসূচীঃ
শহরএলাকার শিক্ষিত, অর্ধ শিক্ষিত বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের আত্নকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে শহর সমাজসেবা কার্যালয় ৩ (তিন) ও ৬ (ছয়) মাস মেয়াদিকম্পিউটার ও ইন্টারনেট এবং দর্জি বিজ্ঞান প্রশিক্ষণ কোর্স চলমান আছে।
প্রতি ৩ মাস এবং ৬ মাস পর পর বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয় এবং ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রশিক্ষনার্থী নির্বাচন করা হয়।
উল্লেখ্যযে, ৩ (তিন) মাস মেয়াদি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট প্রশিক্ষণ কোর্স ফি১,২০০/-টাকা এবং ৬ (ছয়) মাস মেয়াদি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট প্রশিক্ষণকোর্স ফি ২,২০০/-টাকা এবং দর্জি বিজ্ঞান প্রশিক্ষণ কোর্স ফি ৩০০/ টাকা (এককালীন) ।
৫) এ্যাসিডদগ্ধ ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের পুর্নবাসন কার্যক্রমঃ নির্ধারিত ফরমে যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে আবেদনের পর- ১ম বার ঋণ (বিনিয়োগ) গ্রহনের জন্য আবেদনের পর ১ (এক) মাসের মধ্যে। ২য়/৩য় পর্যায়ের ঋণ (পুনঃবিনিয়োগ) গ্রহণ এর জন্য আবেদনের পর ২০ (বিশ) দিনের মধ্যে। উক্ত ঋন যাদের ক্ষেত্রে প্রাপ্য যাহারা এসিডদগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি যাদের বাৎসরিক আয় ২০,০০০(বিশ হাজার) টাকার নিচে। ঋনের পরিমান ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) থেকে ১৫,০০০ (পনেরহাজার) টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়।
৬) হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রমঃ অসহায় ও দরিদ্র রোগী চিহ্নিত হওয়া বা রোগী আবেদন করার পর তাৎক্ষনিক ভাবেসংশ্লিষ্ট ডাক্তার (আর.এম.ও) এর সুপারিশক্রমে চিকিৎসার জন্য ঔষধ ও পথ্য প্রদান করা হয় । হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা প্রাপ্তিতে সহায়তা ও দিকনিদের্শনা প্রদান। দরিদ্র ও অসহায় রোগীদের ঔষধ, রক্ত, পথ্য, বস্ত্র, চশমা, কৃত্রিম অঙ্গ প্রদানসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ। দরিদ্র ও অসহায় রোগীদের প্রয়োজনে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ। অবাঞ্চিত ও পরিত্যাক্তা শিশুদের পুনর্বাসন। হাসপাতালে অবস্থানরত রোগীদের চিত্ত বিনোদনের ব্যবস্থা করা। চিকিৎসার প্রয়োজনে রোগীকে অন্য হাসপাতাল/চিকিৎসা কেন্দ্র স্থানান্তরে সহায়তা করা। রোগ মুক্তির পর দরিদ্র ও অসহায় রোগীদের প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তা/যাতায়াত ভাড়া প্রদান এবং পরিবারে পুনৃ:একত্রিকরনে সহায়তা করা।
৭) প্রবেশন কার্যক্রমঃ সংশ্লিষ্ট আদালত কর্তৃক সাজা প্রাপ্ত ব্যক্তি তথা আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু/ কিশোর, মৃত্যুদন্ড অথবা যাবজ্বীবন কারাদন্ড এবং রাষ্টদ্রোহিতা, বিষ্ফোরক দ্রব্য আইন, অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য সংশ্লিষ্ট আইনে দন্ডপ্রাপ্ত নারী ব্যতীত ১ (এক) বছরের অধিক যে কোন মেয়াদে কারাদন্ড প্রাপ্ত কোন নারী শতকরা৫০ (পঞ্চাশ) ভাগ কারাদন্ড করেছেন। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে প্রথম ও লঘু অপরাধী দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের শাস্তি প্রদানস্থগিত রেখে প্রবেশন অফিসারের তত্বাবধানে জিম্বাদার এর হেফাজতে পারিবারিক/সামাজিক পরিবেশে রেখে সংশোধন ও আত্নশুদ্ধির ব্যবস্থা করা। উক্ত ব্যক্তিদের শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষন প্রদান। সাজাপ্রাপ্ত শিশুদের কারাগারে না রেখে কিশোর /কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রবেশন অফিসার /সোস্যাল কেইস ওয়ার্কসের তত্ত্বাবধানে কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে শিশুর মানসিকতার উন্নয়ন এবং সংশোধন। টাস্কফোর্স কমিটি সহায়তায় কারাগারে বন্দি শিশু /কিশোরদের মুক্তির ব্যবস্থ করাসহ মানসিকতার উন্নয়ন এবং সংশোধন। মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েদীদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষন। কারাগারে আটকসাজা প্রাপ্ত নারীদের শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি। মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েদী/প্রবেশনারদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে পুনর্বাসন।
৮) সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রমঃ ভর্তির জন্য আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর আসন খালি থাকা সাপেক্ষে ১ (এক) মাসের মধ্যে ৬(ছয়) থেকে ৯ (নয়) বছর বয়সী দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের সংশ্লিষ্ট কমিটির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া চূড়ান্তকরণ এবং ১৮ (আঠার) বছর পর্যন্ত সরকারী খরচে আবাসিক থাকা ও খাওয়া এবং লেখাপড়াসহ সব ধরনের সুবিধা প্রদান। অনুর্ধ ১৮(আঠার) বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিপালন এবং শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান। নিবাসীদের শারীরিক, বুদ্ধিবৃত্তিই ও মানবিক উৎকর্ষ সাধন। পুর্নবাসন ও স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাকরা
৯) সরকারী শিশু পরিবারঃ শিশুপরিবারে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর আসন খালি থাকা সাপেক্ষে ১(এক) মাসের মধ্যে ৬ (ছয়) থেকে ৯ (নয়) বছর বয়সী এতিম অর্থাৎ পিতৃহীন বা পিতৃ-মাতৃহীন দরিদ্র শিশুকে সংশ্লিষ্ট কমিটির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করণ। শিশুর বয়স ১৮ (আঠার) বছর পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারী খরচে আবাসিক থাকা ও খাওয়া এবং লেখাপড়াসহ সব ধরনের সুবিধা প্রদান। অনুর্ধ ১৮ (আঠার) বছরবয়স পর্যন্ত এতিম শিশুদের প্রতিপালন। পারিবারিক পরিবেশে স্নেহ ভালবাসা ও আদর-যত্নের সাথে এতিম শিশুদের লালন পালন। শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান। নিবাসীদের শারীরিক, বুদ্ধিবৃত্তিই ও মানবিক উৎকর্ষ সাধন। পুর্নবাসন ও স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা ।
১০) স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সমূহের নিবন্ধণ ও নিয়ন্ত্রন কার্যক্রমঃ ক)নিবন্ধন প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন পাপ্তির ২০ (বিশ) কর্মদিবস পর। খ)নামের ছাড়পত্র -প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনপত্র প্রাপ্তির ৭ (সাত)কর্মদিবস। গ) কার্যকরী কমিটি অনুমোদন প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনপত্রপ্রাপ্তির পর ১০ (দশ) কর্মদিবস। কার্য এলাকা সম্প্রসারণ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর ৩০ (ত্রিশ) কর্ম দিবস। ঘ) স্বেচছাসেবী সমাজকল্যাণ সংগঠনের নামকরনের ছাড়পত্র প্রদান ঙ) ১৯৬১ সালের স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রন) অধ্যাদেশের ২ (চ) ধারায়বর্ণিত সেবামূলক কার্যক্রমের আগ্রহী চ) নিবন্ধন প্রাপ্ত সংগঠনের গঠনতন্ত্রবা সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুমোদন, সাধারণ ও কার্যকরী পরিষদ অনুমোদন। নিবন্ধনপ্রাপ্ত সংগঠনের কার্যএলাকা একাধিক জেলায় সম্প্রসারনের অনুমোদন। নিবন্ধনপ্রাপ্ত সংগঠনের কার্যএলাকা একাধিক জেলায় সম্প্রসারনের আবেদন পত্র সদর দফতরে প্রেরণ ।
গড়। |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস